ব্লুমবার্গের সদ্য প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুযায়ী ফেসবুক প্রায় ১০ হাজার কর্মী ছাটাই এর পথে হাটছে। ফেসবুক একটি জায়ান্ট সংস্থা এবং লাখের অধিক কর্মী কাজ করে এই সংস্থাটিতে । কিন্তু ইদানীং একটি বিষয় লক্ষণীয় যে ফেসবুক প্রায় ই তাদের মূল কার্যক্রম অনেকটাই আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজিন্সের উপর নির্ভর করে পরিচালনা করে যাচ্ছে এবং মনুষ্য কর্মী ছাটাই করছে হরহামেশাই।
কার্যত পুরো বিশ্ব জুড়েই বর্তমানে আর্থিক মন্দা ,এমতাবস্থায় অনেক বড় বড় সংস্থা ই তাদের টিম থেকে কর্মী ছাটাই এ ব্যস্ত। ফেসবুক ও তার ব্যতিক্রম নয় এবং ইতিমধ্যেই তাদের যে ১০ হাজার কর্মী ছাটাই এর গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল তা সত্য বলে বিবেচিত হয়েছে যখন তা ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জোকারবার্গ দ্বারা ঘোষিত হয়েছে।
এক্ষেত্রে ফেসবুকের প্রায় পাচ হাজারের উপর শূন্য পদ রয়েছে এবং ধারণা করা হচ্ছিল ফেসবুক হয়ত খুব শীঘ্রই এই শূন্য পদ গুলোতে কর্মী নিয়োগ দিবে তবে তা হিতে বিপরীত হয়ে দাড়াল যখন শোনা গেল যে সংস্থাটি উলটো আরো কর্মী ছাটাই এ ব্যস্ত। এটার কারণ হিসেবে মূলত বৈশ্বিক মন্দাকে দায়ী করছে বিশ্লেষকরা। তবে এতে করে অবশ্য লাভ ই হবে ফেসবুকের, কারণ এতে করে ফেসবুকের কয়েক বিলিয়ন মার্কিন ডলার বেচে যাবে বলে ধারণা করা যায়। আর এজন্যই হয়ত ফেসবুক এরকম সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হচ্ছে।
বস্তুত এটি সংস্থা টির দ্বিতীয় দফায় কর্মী ছাটাই । এর আগে ফেসবুক কর্তপক্ষ প্রায় ১০ শতাংশ কর্মী ছাটাই এর সিদ্ধান্ত নেয়, এতে করে প্রায় বারো হাজার কর্মী তাদের চাকরি হারায়। এবং ফেসবুকের শেয়ার গত কিছুদিনে অনেক বেশিমাত্রায় পড়ে গিয়েছে এবং ব্যবহার ও অনেক কমে গিয়েছে যা প্রতিষ্ঠান টিকে বার বার ভাবিয়ে তুলছে নতুন কোন সমাধানের যদিও এক্ষেত্রে মার্ক জোকারবার্গ তেমন কোন বক্তব্য দেন নি এবং তেমন কোন নিউজ ও প্রকাশিত হয় নি । তবে আন্তর্জাতিক প্লাটফর্মে যে ফেসবুককে তার শক্ত অবস্থান ধরে রাখতে প্রচুর বেগ পেতে হচ্ছে এ ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই।
এক্ষেত্রে ফেসবুকের কিছু কর্মীদের ভাষ্যমতে অন্যান্য সকল প্রতিষ্ঠান এর মত ফেসবুক ও আসলে এমন কোন রাস্তা খুজছে যা তাদের শেয়ার কয়েক গুনে বাড়িয়ে দিবে, এক্ষেত্রে তারা আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজিন্সের উপর বেশি জোর প্রদান করছে। এতে করে তাদের খরচ কমবে এবং আয় বাড়বে। একই সাথে তারা অতি দ্রুততার সাথে আরো অনেক বেশি কর্ম সম্পাদন করতে পারবে